প্রস্তাবনা
প্রস্তাবনার খসড়া জওহরলাল নেহেরু দ্বারা 13ই ডিসেম্বর 1946 সালে সরানাে হয় এবং “উদ্দেশ্য সমাধানের” উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে যা আমেরিকার মডেলের থেকে গৃহীত । এটি সাংবিধানিক সমাবেশ দ্বারা 22শে জানুয়ারী 1947 সালে গৃহীত হয় । আমাদের সংবিধানের মূল অট্টালিকা এই প্রস্তাবনার প্রধান মৌল দ্বারা গঠিত । এই মৌলগুলিকে যদি কোনাে একটি সরানাে হয় , তাহলে গঠনটি আর থাকবেনা এবং এটি সমান সংবিধান থাকবেন বা তার পরিচয় রক্ষা করতে পারবে না । প্রস্তাবনা এখনও পর্যন্ত কেবলমাত্র একটিবার সংশােধিত হয়েছে , যা 1976 সালে 42তম সংশােধন ঘটে , যাতে তিনটি শব্দ ‘ ধর্মনিরপেক্ষ , সমাজতান্ত্রিক এবং সততা ‘ সংযােজিত হয় এবং এখন প্রস্তাবনাটি পাঠ করা হয় :
প্রস্তাবনার মূল শব্দগুলি হল : সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক , প্রজাতান্ত্রিক ( সংবিধানের ধরণ বােঝায় ) , ন্যায় , স্বাধীনতা , সমতা এবং সমধর্মিতা ( ভারতীয় সংবিধানের ধরণ বােঝায় ) ।
প্রস্তাবনায় উল্লেখিত সংবিধানের কর্তৃত্বের উল্লেখ আছে এবং সেই কারণে , কোনাে রাজ্যের ক্ষেত্রে তা হল ভারতীয় নাগরিকগণ সুতরাং , প্রাথমিক নীতি হল । নাগরিকের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র , যা সংবিধানে সন্নিবেশিত থাকে ।
এক নজরে
ভারতীয় সংবিধানের অংশ হল প্রস্তাবনা
প্রস্তাবনা হল ভারতীয় সংবিধানের সমস্ত আশা , কিন্তু এটি সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ আশা নয় । 1973 সালে , সুপ্রিম কোর্ট একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রায় দেয় ( কেশবানন্দ ভারত বনাম কেরালা রাজ্য ) যা বলে যে প্রস্তাবনা হল সংবিধানের অংশ এবং সংসদের সংশােধনী ক্ষমতার মধ্যে পড়ে যেমন , সংবিধানের অন্য কোনাে বিধানে প্রস্তাবনার ধ্বংস সম্ভব নয় । সুতরাং , প্রস্তাবনা সংবিধান সৃষ্টি কর্তাদের মনকে স্পষ্ট করে তােলে ।
Mcq questions dile valo hy..
OK